মানিকগঞ্জে অবৈধ মাটি বানিজ্য করে আসছে ভূমি খেকো একটি চক্র। রাতভর ভারি যানবাহনে মাটি পরিবহন করায় পৌরসভার রাস্তা খানাখন্দ হওয়ার পাশাপাশি রাস্তার সাথে ঘরবাড়ির মানুষজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পৌলি গ্রামের গজারিয়া চকে প্রায় ছয়মাস ধরে মাটি বাণিজ্য করে আসছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী একটি চক্র। তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিনে রবিবার বিকেলে দেখা যায়, গজারিয়ার চকে দু’টি এক্সকেভেটর (ভেকু) দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশেই গভীর করে একাধিক জমির মাটি কাটা হয়েছে। এসব মাটি পরিবহনে ফসলি জমির উপর দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। এতে ফসল ও জমির ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে সন্ধ্যা রাত থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মাটি বাণিজ্য করে ভূমিখেকো এই চক্র। বিকট শব্দে সারারাত ভারি ট্রাক চলাচল করায় নির্ঘুম রাত যাপন করতে হচ্ছে তাদের। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝূঁকিতে পরছেন তারা।
এ বিষয়ে পৌলী এলাকার ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, মাটি বাণিজ্য করায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সারারাত গ্রামীণ সড়কে ট্রাক চলাচল করায় রাতে আমরা ঘুমাতে পারছি না। স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন তাহলে রাস্তার পাশে বাড়ি করেছেন কেন? রাস্তার সাথে আমাদের বাড়ি হওয়ায় খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
সাবেক ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইন্তাজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, মাটি খেকোদের জন্য আমরা খুবই বিপদের মধ্যে আছি। রাস্তা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি তারা আমার গেটের সামনেও ক্ষতি করেছে। এসবের বিচার হওয়া উচিত।
সুফিয়া বেগম বলেন, সারারাত তারা মাটি কাটে। ধুলোবালিতে আমরা অসুস্থ হয়ে পরছি। তারা আমাদের ফসলি জমি ক্ষতি করে ফেলেছে। এসবের কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, যারা মাটি বাণিজ্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।